বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্কাউটস এর আয়োজনে চার দিন ব্যাপী ২৬ তম বিরামপুর উপজেলা স্কাউটস সমাবেশ -২০২৫ মহাতাবু জলসা এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার ( ১৩ই ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় উপজেলা স্কাউটস এর সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এ স্কাউটস সমাবেশের মহাতাবু জলসা এর শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রোগ্রাম চীফ মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফার রহমান,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর যুবলী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, দিনাজপুর জেলা স্কাউটের কোষাধক্ষ্য মশিউর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লাইলা, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার মতিন,বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক শাহ্ আলম মন্ডল, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বাদশা মোঃ নাজ্জাসী, উপজেলা স্কাউটস কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষক ও স্কাউটের সদস্যবৃন্দ, দলনেতা উপস্থিত ছিলেন।
স্কাউট সমাবেশের মহাতাবু জলসা এর উদ্বোধন কালে উপজেলা স্কাউটস এর সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, তারুণ্যের উৎসবে এসো দেশ বদলায় পৃথিবী বদলায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্কাউটদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আজকের ছাত্র ছাত্রী আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তারা দেশ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, স্কাউটদের সততা ন্যায়পরায়ণতা যা দেশ ও জাতি গঠনে সহায়তা করবে।
উপজেলা স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম জানান, ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪ দিনব্যাপী ২৬-তম উপজেলা স্কাউটস সমাবেশের মহাতাবু জলসা সহ পরের দিন সকাল দশটায় স্কাউটস সমাবেশে অংশগ্রহণ কারী স্কাউটদের সনদপত্র সহ পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
ফটোগ্যালারী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফটোগ্যালারী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মালামাল বহনে ভরসা হয়ে উঠছে ঘোড়ার গাড়ি। গ্রাম থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের মালামাল ঘোড়ার গাড়িতে করেই আনা-নেয়া করা হচ্ছে। এতে জীবিকা নির্বাহ হয় অসংখ্য পরিবারের। স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় অসংখ্য ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মালামাল পৌঁছানো ছাড়াও যাত্রীবহনও করা হয়। সরেজমিনে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যান। দূরত্ব ভেদে মণপ্রতি বিভিন্ন ধাপে ভাড়া নেন চালকরা। ধান-চাল, লাকড়ি, চিড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাঠ, বাঁশ, ধানের আঁটি, কলা, বেগুন, খড়সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন ঘোড়ার গাড়িতে। ৮-১০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জানান, ঘোড়ার গাড়ির চাকা চললে তাদের অনেকের চলে সংসারের চাকাও। এই আধুনিক যুগেও আদি পেশায় কাজ করে তারা টিকে রয়েছেন। পীরগঞ্জ উপজেলার খাশিপুর গ্রামের বাহারাম বাদশা মালামাল ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে পরিবহন করে থাকেন। তিনি বলেন, পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী ছাড়াও শহরেও মালামাল পৌঁছে দিয়ে আসি। আমার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এই ঘোড়ার গাড়ি। চাঁদপুর গ্রামের আলম বলেন, বাপ-দাদার পেশা ঘোড়ার গাড়ি চালানো বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আধুনিকতার যুগেও সব মিলিয়ে তার উপার্জন ভালোই হচ্ছে জানিয়ে বলেন, দৈনিক এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা রোজগার করা যায়। এতেই তার সংসার চলে বলে যোগ করেন তিনি। ঘোড়ার গাড়ি চালক ইউনুস মিয়া বলেন,ঘোড়া গাড়ি দিয়ে কৃষক ও ব্যাপারী মালামাল পরিবহন করে থাকি। ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করেন এমন কয়েক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, অনেকে দিনমজুরের কাজ ছেড়ে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে যেমন মানুষজন পরিবহন সেবা পাচ্ছেন অন্য দিকে গাড়ি চালকদের ভালো আয় হচ্ছে।
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
দিনের ছবি (১৫ ডিসেম্বর ২০২৪)
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
পাখির অভয়াশ্রম যে গ্রাম
নাটোর গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের গাছগুলো বক, বাদুর, শামুকখোলসহ কয়েক হাজার পাখির আবাসস্থল। গ্রামটিতে সকাল হয় সন্ধ্যা নামে পাখিদের কিচিরমিচিরে। প্রায় বছর তিনেক ধরে গ্রামটিতে পাখিদের অবাধ বিচরণ। গাছগুলো পরিণত হয়েছে অভয়াশ্রমে।
ইতিমধ্যে গ্রামটির নাম শাহাপুর পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘পাখি গ্রাম’। দিনে দিনে গ্রামে পাখির সংখ্যাও বাড়ছে। সকালে ঝাঁক ধরে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে বিকালে আবার নীড়ে ফিরে পাখিরা। গাছে গাছে শুরু হয় কলকাকলি।
‘পাখি গ্রামের’ বাসিন্দারা জানান, তিন বছর আগের শীতে সাদা বক আর শামুকখোল পাখির আনাগোনা শুরু হয় এই গ্রামে। প্রত্যন্ত এ গ্রামের বড় বড় গাছে বাসা বাঁধতে শুরু করে পাখিরা। গ্রামের বাঁশঝাড়ে আবাস তৈরি করে বাদুর। প্রথমদিকে অনেকেই পাখি শিকার করলেও পরে সচেতন মানুষদের বাঁধার মুখে পাখিদের কেউ আর বিরক্ত করেনি। শুধু শীতকাল নয়, বছর জুড়েই ওই গ্রামে পাখিরা বাস করে।
স্থানীয় মাহাবুর রহমান নামে একজন বলেন, গ্রামের মেহেগনি, আমবাগানে এবং শিমুলগাছে কয়েক হাজার পাখি আবাস গড়ে তুলেছে। সড়কের পাশের বড় বড় গাছেও বাসা বেঁধেছে পাখিরা। পাখির ডাকেই ঘুম ভাঙে এই গ্রামের মানুষের।
সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ‘পাখি গ্রামে’ গিয়ে দেখা যায়, গাছের ডালে নানা ভঙ্গিতে দোল খাচ্ছে সাদা বক আর শামুকখোল। দূরের মানুষেরা ঘুরতে এসে পাখিদের ছবি তুলছেন। গ্রামটি চলনবিল ঘেঁষা হওয়ায় বর্ষা মৌসুম জুড়ে এখানে অসংখ্য ছোট মাছের দেখা মিলছে। সেসব মাছ খেয়েই জীবন ধারণ করে পাখিরা।জুলাই থেকে সেপ্টেবর মাসের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রী শামুকখোল পাখিরা শুকনো চিকন ডাল, কঞ্চি, খড় এবং গাছের লতাপাতায় বাসা বাঁধে। এক একটি শামুকখোল চার থেকে ছয়টি ডিম দেয়। ২৫ দিনের মধ্যে ডিম থেকে ছানা ফুটে। ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সেই ছানাগুলো উড়তে শুরু করে। সাদা বর্ণের এই পাখির পিঠ ও ডানার অংশ কালো। পাখিটি দৈর্ঘ্যে কমবেশি ৮১ সেন্টিমিটার হয়।
গুরুদাসপুরের বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গ্রামের মানুষ পরম মমতায় পাখিগুলো আঁকড়ে রেখেছেন। বহিরাগতরাও এই গ্রামে পাখি শিকার করতে পারেন না। পাখির নিরাপদ আবাসের কথা চিন্তা করে গ্রামের মানুষ গাছ রোপণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
গ্রামের অন্তত ১০ জন পাখিপ্রেমী যুবক জানান, গ্রামবাসীরা মিলে পাখিগুলো সংরক্ষণে একজোটে কাজ করছে। গ্রামে পাখির নিরাপদ আবাসসহ আশপাশের বিল, নদী ও ফসলি জমিতে শামুক, পোকামাকড়, ছোট মাছ ও ব্যাঙ খেতে গিয়ে যাতে শিকারির ফাঁদে না পড়ে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, পৃথিবীতে দুই প্রজাতির শামুকখোল পাখি রয়েছে। এরমধ্যে সাদা বর্ণের পাখিটি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও থাইল্যান্ডে স্থায়ীভাসে বাস করে। উপযুক্ত আবহাওয়া, খাদ্যের জোগান ও অভয়াশ্রম হওয়ায় শাহাপুড় গ্রামে বিশাল আবাসস্থল গড়ে তুলেছে শামুকখোল।