মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ভারত-পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতি চলবে না: নাহিদ
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
'পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না'
রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে পূর্বের বাস্তবতা থেকে আমরা সতর্ক আছি ইসি সানাউল্লাহ
সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই শুধু কোটা পাবেন, নাতি-নাতনি নয়
পুলিশ, র্যাব ও আনসারদের কারা কোন পোশাক পেলেন?
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
জনপ্রতিনিধির ভোটে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপত মেয়াদ দুইবারের বেশ নয়
বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
‘জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন- স্থানীয় সরকার সত্যিই স্থানিক থাকে এবং একটি সরকার নিশ্চিত করা যায়।
ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে জানে এবং সে জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে আমাদের কাছে ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া গুম-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত বা কাদের কাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আরো বলেন, আইনগতভাবে একাধিক পাসপোর্ট থাকার বিধান নেই। পাসপোর্ট বাতিল হলে কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে যা চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন সরাসরি জনগণের ভোটে এবং কেউ দুই বারের বেশি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। সংবিধান প্রস্তাবনায় ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ সম্পর্কে এ দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রস্তাবনায় এসব বলা হয়।
রাষ্ট্রপতি রিপাবলিকের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন। রিপাবলিকের সব কর্ম তার নামেই সম্পাদিত হবে। একজন রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয়কক্ষের যৌথসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এছাড়া আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মনোনীত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন।
অন্যান্য সাংবিধানিক পদেও আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ বা ক্ষমা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সংসদের উচ্চ কক্ষের প্রস্তাব/পরামর্শ লাগবে।
রাষ্ট্রপতি যেকোনো আইন-বিধান-বিধি-প্রবিধান-নীতি বা চুক্তি/স্মারক অনুমোদন বা স্বাক্ষরের আগে সংবিধানিক হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কর্মবিভাগ সম্পর্কে তদন্ত/ নিরীক্ষার জন্য ন্যায়পালকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে তা ক্রমানুসারে সংসদের উচ্চকক্ষ বা সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত/পরামর্শ গ্রহণ করবেন। যেকোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতির কাস্টিং ভোট থাকবে। রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান থাকবেন এবং জরুরি অবস্থা বিষয়ে উচ্চকক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সংসদের উভয়কক্ষের সভায় পাস হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে আসতে হবে। নিম্নকক্ষের অনুপস্থিতিতে কেবল উচ্চকক্ষ প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন মৌলিক অধিকার রদ করা যাবে না।
এ ছাড়া শুধুমাত্রা সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সময়ের আগে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন বলেও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার এই বিদেশযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার গুলশান বাসভবন ফিরোজার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া বাসভবনের আশপাশের সড়কগুলোতেও দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’। অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবারই ঢাকায় এসেছে, সেটিকে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টারমাকে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়াআজ রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে গুলশানের বাসা থেকে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওয়ানা হবে। রাত ৯টায় তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
হাসিনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও তাকে দেশে পাঠানো নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকের মন্তব্য
ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গুমের অভিযোগে দ্বিতীয় যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তিনি এসব অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা ও যথাযথ প্রমাণের বিষয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তথ্য-প্রমাণের অভাবের ওপর জোর দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই কূটনীতিক আরও উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি।
এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বীণা সিক্রি বলেন, ‘এটি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এটি (জোরপূর্বকভাবে) গুমের অভিযোগে...যদি আপনি প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কথা বলেন, তা ছিল তথাকথিত গণহত্যার অভিযোগে। কিন্তু কোনো প্রমাণ বা তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। যখন জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনকে জুলাই-আগস্টে প্রাণ হারানো মানুষের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়, তারা বলে যে আমাদের কোনো প্রমাণ দেয়া হয়নি...কোনো এফআইআর কি আছে? এফআইআরে কী লেখা আছে? কী প্রমাণ আছে? এমন কিছুই তো নেই...!’
বীণা সিক্রি আরও বলেন, ‘প্রত্যর্পণের আবেদনের বিষয়টি একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। যেসব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, সেসব প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে...কিন্তু এসব কিছুই করা হয়নি। এখন, গুমের অভিযোগের ক্ষেত্রে শুধু আপনি যেনতেন উপায়ে কয়েকজনের নাম দিয়ে বলছেন, গুম হয়েছে। (এলিট ফোর্স) র্যাব এসব গুমের জন্য দায়ী এবং অভিযুক্ত।’
র্যাব গঠনের প্রসঙ্গে টেনে এই কূটনীতিক বলেন, ‘এটি বেগম খালেদা জিয়ার মেয়াদকালে যাত্রা শুরু করেছিল এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উঠেছে যে তারা নাগরিকদের (জোরপূর্বক) তুলে নিয়ে যায়, গুম করে ফেলে। তারপর থেকে এটি একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎ এটি নিয়ে মামলা করা হয় এবং ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আমি মনে করি না যে, এই মামলাগুলো কোনো গুরুত্ব বহন করে।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: ভারতে পালিয়ে যাওয়া তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জোরপূর্বক অপহরণ এবং গুমের ঘটনায় করা মামলার প্রেক্ষিতে সকালে এই আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্য মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। যথার্থ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন তারা। পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) গ্রেপ্তারের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ওই ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেই পরোয়ানায় তাকে গত বছরের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর, আজ ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যেখানে তাকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।