সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
কাছে পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার এই বিদেশযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার গুলশান বাসভবন ফিরোজার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া বাসভবনের আশপাশের সড়কগুলোতেও দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’। অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবারই ঢাকায় এসেছে, সেটিকে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টারমাকে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়াআজ রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে গুলশানের বাসা থেকে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওয়ানা হবে। রাত ৯টায় তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
হাসিনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও তাকে দেশে পাঠানো নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকের মন্তব্য
ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গুমের অভিযোগে দ্বিতীয় যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তিনি এসব অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা ও যথাযথ প্রমাণের বিষয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তথ্য-প্রমাণের অভাবের ওপর জোর দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই কূটনীতিক আরও উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি।
এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বীণা সিক্রি বলেন, ‘এটি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এটি (জোরপূর্বকভাবে) গুমের অভিযোগে...যদি আপনি প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কথা বলেন, তা ছিল তথাকথিত গণহত্যার অভিযোগে। কিন্তু কোনো প্রমাণ বা তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। যখন জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনকে জুলাই-আগস্টে প্রাণ হারানো মানুষের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়, তারা বলে যে আমাদের কোনো প্রমাণ দেয়া হয়নি...কোনো এফআইআর কি আছে? এফআইআরে কী লেখা আছে? কী প্রমাণ আছে? এমন কিছুই তো নেই...!’
বীণা সিক্রি আরও বলেন, ‘প্রত্যর্পণের আবেদনের বিষয়টি একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। যেসব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, সেসব প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে...কিন্তু এসব কিছুই করা হয়নি। এখন, গুমের অভিযোগের ক্ষেত্রে শুধু আপনি যেনতেন উপায়ে কয়েকজনের নাম দিয়ে বলছেন, গুম হয়েছে। (এলিট ফোর্স) র্যাব এসব গুমের জন্য দায়ী এবং অভিযুক্ত।’
র্যাব গঠনের প্রসঙ্গে টেনে এই কূটনীতিক বলেন, ‘এটি বেগম খালেদা জিয়ার মেয়াদকালে যাত্রা শুরু করেছিল এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ উঠেছে যে তারা নাগরিকদের (জোরপূর্বক) তুলে নিয়ে যায়, গুম করে ফেলে। তারপর থেকে এটি একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎ এটি নিয়ে মামলা করা হয় এবং ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আমি মনে করি না যে, এই মামলাগুলো কোনো গুরুত্ব বহন করে।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: ভারতে পালিয়ে যাওয়া তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জোরপূর্বক অপহরণ এবং গুমের ঘটনায় করা মামলার প্রেক্ষিতে সকালে এই আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্য মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। যথার্থ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন তারা। পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) গ্রেপ্তারের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ওই ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেই পরোয়ানায় তাকে গত বছরের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর, আজ ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যেখানে তাকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সীমান্তের কাঁটাতার বিহীন স্থানে গেল বেশ কিছুদিন ধরেই কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শুরু করেছে ভারত। সেই কাঁটাতার দেয়াকে কেন্দ্র করেই সংঘাতে জড়াল দুই দেশের জনতা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। পাল্টাপাল্টি জমায়েত, স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর সীমান্ত এলাকা। বাংলাদেশের দিকে এই এলাকাটি রাজশাহী জেলার শিবগঞ্জ থানার আওতাধীন।
মঙ্গলবার (০৬ জানুয়ারি) এই ঘটনার সূত্রপাত। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার অংশে এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সেখানে প্রায় উন্মুক্তই। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কাঁটাতারের বেড়া তুলতে শুরু করে বিএসএফ। কিন্তু বেড়া দেয়া নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। ফলে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় কাঁটাতারের কাজ।
এমন খবর স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেই নিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভারতের দিক থেকে 'ভারত মাতা কি জয়', 'বন্দেমাতরম', 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে। পাল্টা স্লোগান ভেসে আসে ওপার থেকেও। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোটা ঘটনা নিয়ে বিএসএফ সূত্রে জানানো হয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তুলতে গেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ভারতীয় ভূখণ্ডকেও বিতর্কিত এলাকা এবং সেটি বাংলাদেশের এলাকা বলে দাবি করে। এর পরই উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়। মানচিত্র তুলে ধরে বিএসএফ জানায়, ওই এলাকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ। শেষ পর্যন্ত বিজিবি ফিরে যায়। আজ বুধবার সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়া তোলার কাজ ফের শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংঘানিয়া। তিনি জানান, সাময়িক বাদানুবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ওই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। আজ সকাল থেকে কাঁটাতার দেয়া শুরু হয়েছে। একদিকে বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। অন্য দিকে জেলা পুলিশও পরিস্থিতির তদারকি করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, সতর্কবার্তা
মরুর দেশ সৌদি আরবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধেয়ে আসছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরোলজি (এনসিএম)। গতকাল শুক্রবার এক পূর্বাভাসে এনসিএম জানিয়েছে, আজ শনি কিংবা আগামীকাল রবিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে এবং দেশটির কোনো কোনো স্থানে তাপমাত্রা শূণ্যের নিচে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে নামতে পারে।
বলা হয়েছে, আজ শনিবার থেকে সৌদির তাবুক, আল জাওয়াফ, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর ওপর দিয়ে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করবে। এই বাতাসের ধাক্কায় এ সময় এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন মাইনস ৩ ডিগ্রিতে নামতে পারে। এছাড়া সোম ও মঙ্গলবার থেকে শৈত্যপ্রবহা শুরু হবে রাজধানী রিয়াদ, মক্কা, মদিনা, আল কাসেমসহ উপকূলীয় অঞ্চলেও। তবে এসব এলাকায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রির মধে থাকবে। শীতল কনকনকে ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের আশঙ্কা বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এনসিএমের পূর্বাভাসে।
শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত লোকজনকে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এছাড়া ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং সৌদি সরকারের এ সংক্রান্ত গাইডলাইন অনুসরণ করতেও জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে এনসিএম।
সূত্র : গালফ নিউজ।
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে মূর্তি ভাঙচুর, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বলে প্রচার
ভারতীয় এক মিডিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দেবী কালী বিসর্জনের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশের একটি মন্দিরে হামলা হিসেবে ভুলভাবে প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্ট ওয়াচ’।
ভাইরাল ওই ভিডিও পোস্টটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্ট ওয়াচ। ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট আরটি ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডেল থেকে ঐ ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিলো। পোস্টে দাবি করা হয় এটি বাংলাদেশের একটি কালী মন্দিরে হামলার ঘটনা।
ফ্যাক্ট ওয়াচ নিশ্চিত করেছে যে, এটি প্রকৃতপক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কালী বিসর্জনের ভিডিও ছিলো। খবর বাসসের।
ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করতে ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধীনস্থ এবং সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) পরিচালিত স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ফ্যাক্ট ওয়াচ ভিডিওটির বিভিন্ন কী-ফ্রেম ব্যবহার করে একটি অনুসন্ধান চালায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর বিনোদ ঘোষ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়েছিলো, যা ফ্যাক্ট ওয়াচ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিলো, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার সুলতানপুর গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন কালীপূজোতে প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১২ বছরে গ্রামের পুরোহিতরা প্রথমে ১৩ ফুট লম্বা কালী মূর্তির ছোট ছোট আঙুল ভাঙেন, তারপর গ্রামের সাধারণ মানুষেরা মূর্তির বাকি অংশ ভেঙে একে একে বিসর্জন দেন।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বিসর্জনের পর একটি নতুন মূর্তি তৈরি করা হয় এবং তা পরবর্তী ১১ বছর ধরে পূজা করা হয়।
এই উৎস থেকে ফ্যাক্ট ওয়াচ দল আরও কিছু চিত্র এবং ভিডিও খুঁজে পায়, যা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। সেখানে দেখা যায় যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও উদযাপন করছেন।
এদিকে ভারতের দ্য ডেইলি স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও একই রকম তথ্য পাওয়া যায়। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে এই প্রথাটি ৬০০ বছরের পুরোনো। প্রথমদিকে গ্রামের কামার সম্প্রদায় (বঙ্গের কর্মকার জাতির সমতুল্য) এই পূজা পালন করত, পরবর্তীতে তারা দায়িত্বটি মণ্ডল পরিবারকে হস্তান্তর করে।
অন্যদিকে, গুগল স্ট্রিট ভিউতে কালী মন্দিরের দৃশ্য এবং ফেসবুক ভিডিওর সাথে তুলনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মন্দিরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুলতানপুর গ্রামে অবস্থিত, বাংলাদেশে নয়। এছাড়াও, সেখানে কোনো হিন্দু ভক্ত নিহত হওয়ার মতো কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশে ঘটনা বলে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে শেয়ার করা হচ্ছে বলে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
সবদিক বিবেচনা করে ফ্যাক্ট ওয়াচ ভাইরাল পোস্টটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।