শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশকে কেউ মাথা নত করাতে পারবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা জানতাম ভারত অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষের দেশ, সেই দেশটিকে এখন মনে হচ্ছে হিংস্র ঘাতক এবং প্রচণ্ড রক্তপিপাসু মানুষরা বসবাস করে। শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। সেই স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা শেখ হাসিনার জন্য যে কুমিরের মায়া কান্না করছে, এটাই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আহতদের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকে বার্ন ইউনিটে যে দৃশ্য দেখলাম এই দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আন্দোলনের সময় আমি কারাগারে ছিলাম। বের হয়ে অনেক হাসপাতালে গিয়েছি, কিন্তু এত বর্বরতা এত মর্মান্তিক বুকফাটা কান্না বেরিয়ে আসে এই দৃশ্য দেখলে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার যে পতাকা, সেই পতাকা তারা ছিড়ে ফেলেছে। কূটনৈতিক নেতাদের গায়ে হাত তুলেছে, যা ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ, সেই অপরাধ তারা করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, সার্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ এই বাংলাদেশকে কেউ মাথা নত করাতে পারবে না। এই বাংলাদেশকে ভয় দেখিয়ে চোখ রাঙিয়ে নতজানু করানো যাবে না। এই বাংলাদেশে অপরাধীদের বিচার হবে যারা আমাদের ভাইদেরকে পঙ্গু করেছে, যারা অপরাধ করেছে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের অপরাধীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে, যোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বিতাড়িত চিন্ময়কে সরকার গ্রেপ্তার করলে ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না করছেন পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিবিদরা, নীতিনির্ধারকরা। বাংলাদেশ নাকি হিন্দুদের বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, হিন্দুদেরকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই ধরনের ডাহা অসত্য মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। তাই এখন হিংসা-প্রতিহিংসার জ্বালায় প্রতিদিন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Author:

দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও.কম একটি জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল। নির্ভীক, অনুসন্ধানী, তথ্যবহুল ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হয়েছে।

0 coment rios: