রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম আসছে এপ্রিলে

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম আসছে এপ্রিলে

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম এপ্রিলে আসছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির প্রধান উদ্যোক্তা ছাত্রশিবিরের সাবেক শিক্ষা সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ। রোববার (১৬ মার্চ) ইফতারের পরে ফেসবুকে করা এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ লেখেন, ৩৬ জুলাই ফতহে গণভবনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হলেও, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বহু মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ামুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এবং আধিপত্যবাদের বিপক্ষে কার্যকর অবস্থান- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গৌণ হয়ে পড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।
৩৬শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, তা পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে এ বিপ্লব পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এ উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এ সংগ্রামে শামিল হই।
নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে : মির্জা ফখরুল

নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত। কারণ, আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে যেটা দেখছি, নির্বাচন যত দেরি হবে তত বেশি বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। যারা উগ্র, জঙ্গি তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছে। রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, আমরা সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা দাবি অনেক আগেই দিয়েছি যখন এই সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে সেখানে খুব বেশি পার্থক্য দেখছি না। তিনি বলেন, পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা আজ বিচলিত হয়ে যাই। হত্যা, খুন, ধর্ষণ এমন একটি জায়গায় চলে যাচ্ছে যে জায়গাটা আমাদের পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি, যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তারাও তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। আমাদের সকলেরই এই ব্যাপারে ধৈর্য ধরার ব্যাপার আছে। দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখনো অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাবেন। আমরা তাই মনে করি, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে গিয়ে একদিকে দেশ পরিচালনা করবে, অন্যদিকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলো আছে সেগুলো আমরা সবাই একসঙ্গে করতে পারব। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগান্তর সম্পাদক কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, দেশ রুপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন অস্থায়ী অফিসে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন জিয়া সাইবার ফোর্সের সদস্যরা। এর আগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনটির জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম সেতু শেখ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রায়হান কবির সোহাগ। এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন মিডিয়ার কণ্ঠ, লেখুনি বন্ধ করে রেখেছিল। তখন জিয়া সাইবার ফোর্স দেশে ঘটে যাওয়া আসল ঘটনা গুলোকে জনগণের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। বিএনপির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ যখন নানান বিভ্রান্তিমুলক কথা ছড়াচ্ছিলো তখন জিয়া সাইবার ফোর্স তার প্রতিবাদ করেছে এবং আসল ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরেছে। গত ১০ বছর ধরে এই ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। যেকোন অপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো।। এসময় আরো বক্তব্য দেন, জেলা তাতী দলের সাধারণ সম্পাদক শিমুল প্রধান, জিয়া সাইবার ফোর্সের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ সভাপতি রেজাউল করিম রেজাসহ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জিয়া পরিবার ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দেশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আত্মপ্রকাশ করল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

আত্মপ্রকাশ করল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

আত্মপ্রকাশ করেছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। স্বৈরাচার শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অগ্রভাগে থাকা একদল তরুণ-তরুণী এই দল গঠনের উদ্যোক্তা। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউইয়ে এক অনুষ্ঠান থেকে দলটি আত্মপ্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বললেন দেলাওয়ার হোসেন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বললেন দেলাওয়ার হোসেন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই হিন্দু সহ অন্য ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য মোঃ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরে আমরাই অন্য ধর্মের উপাসনালয় ও বাড়িঘর পাহাড়া দিয়েছি। আমরা ক্ষমতায় গেলে তাদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পাটিয়াডাঙ্গী বাজার ও দেবীগঞ্জ বাজারে জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। দেলাওয়ার হোসেন আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ চাঁদাবাজির শিকার হবে না, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধার সম্মুখীন হবে না। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় চাকরির জন্য মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে, টাকার বিনিময়ে নয়। ঠাকুরগাঁওকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে আমরা কাজ করব। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে কাজ করব। আল্লাহর সাহায্যে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আমি নিজেও টানা সাড়ে চার বছর কারাগারে কাটিয়েছি। কিন্তু আমরা আপস করিনি, আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। ঠাকুরগাঁওয়ের যুবসমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা জরুরি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি কফিল উদ্দিন আহমেদ, রুহিয়া থানা শাখার আমীর আব্দুর রশিদ এবং রাজাগাঁও ইউনিয়ন শাখার আমীর এ টি এম শাহজামাল প্রমূখ।
আমরা এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না: মির্জা ফখরুল

আমরা এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন করি না, তাকে আমরা ব্যর্থও হতে দিতে চাই না। আমরা চাই, এই সরকারই যেনো অবশ্যই এই নির্বাচনকে সম্পন্ন করতে পারে। তাকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সহযোগিতা করতে চাই। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধামরাইয়ের যাত্রাবাড়ী মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের কথিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগ থেকেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যে কোনো বিষয়ে মানুষ রাস্তায় নামে, এটা দায়িত্বশীলতার কাজ নয়। ধৈর্য ধরেন, একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে। সরকার আসছে, আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন করি না, তাকে আমরা কিন্তু ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। আমরা চাই, এই সরকারই, যেনো অবশ্যই এই নির্বাচনকে সম্পন্ন করতে পারে। তাকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সহযোগিতা করতে চাই। প্রথম থেকে বলেছি, সহযোগিতা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আজকে সংস্কারের যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, আমরা দেখছি, সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমাদের এই সুযোগ যে আমরা পেয়েছি, এটাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই, আমাদের শত্রুরা বিভিন্ন টোপ ফেলছে, ট্র্যাপ করছে, যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করি, নিজে হাতে সব তুলে নেই। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। সবাইকে সহযোগিতা করে দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারি। সেদিকে যাতে সবাই এগিয়ে যেতে পারি।’ আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা সরকার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে এই দেশ থেকে রাজনীতিকে চিরতরে নির্বাসিত করার জন্য, শুধু তার দল থাকবে, আর কোনো দল থাকবে না। এইভাবে পরিকল্পিতভাবে সে এগিয়ে যাচ্ছিল। রাষ্ট্রের সব ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, সব ইন্সটিটিউশন ধ্বংস করেছে, সবচেয়ে আগে ধ্বংস করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোট দিতে যেতে পারবে না, ভোট কেন্দ্রেই যেতে দেবে না। ২০১৪ সালে ভোট হয নাই। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকার ঘোষণা করেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে কুত্তা ঘুরাঘুরি করেছে। শফিউল আলম প্রধান তখন বলেছিলেন, কুত্তা মার্কা নির্বাচন।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালে আমাদের সঙ্গে হাসিনা নিজে কথা বললেন, ওয়াদা করলেন, নির্বাচনে আসেন, আমরা সব সুযোগ সুবিধা দেব। নিরপেক্ষতা দেবো। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সেই নির্বাচনে গেলাম। কি দেখেছি নির্বাচনে, আমাদের প্রার্থীদের আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে ক্যাম্পেইন করতে দিত না, প্রচার করতে দিত না। আগের রাতে সব ভোট সিল মেরে নিয়ে যেতো। নিশি রাতের ভোট। তারপর আরেকটা নির্বাচন করলো ৫ তারিখে। সেটা ডামি নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হবে, আবার আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রতিপক্ষ হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হবে। ভোটের তামাশা, গণতন্ত্রের তামাশা আমাদের দেখিয়েছে শেখ হাসিনা।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু দিন আগে চোখে পড়লো, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কান্না করতে করতে বলছে, আমার বাবার বাড়িটা ৩২ নম্বরে আমরা দিয়েছিলাম, জাদুঘর করেছিলাম, সেটাকে পর্যন্ত ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেনো কি আমার অপরাধ। অপরাধ? আপনি এটাই তো আপনি বুঝতে পারছেন না হাসিনা। আপনার কি অপরাধ? আপনি একটা জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন। আপনি একটা জাতির অধিকারকে ধ্বংস করেছেন। আপনি দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনার কপাল ভালো, ভাগ্য ভালো যে আপনাকে যে বা যারাই হোক, হেলিকপ্টারে করে পাঁচার করে দিয়েছে। তা না হলে আপনাকে খুজে পাওয়া যেত না। সেদিন সামরিক বাহিনী খুব ভালো একটা ভূমিকা পালন করেছে, তারা পরিষ্কার করে হাসিনাকে বলে দিয়েছিল, আপনার কাছে দুইটা অপশন আছে, দুইটা বিকল্প আছে। একটা হলো, জান নিয়ে কেটে পড়েন, তা নাহলে এই গণভবনে পাবলিক আপনাকে কি করবে, তা আমরা বলতে পারবো না। সেদিন লাখো লাখো মানুষ যখন চতুর্দিক থেকে সেই গণভবনে ছুটে গিয়েছিল, তখন কিন্তু হাসিনা পালিয়ে তার জীবন রক্ষা করেছে। তার দলের দিকে তাকায় নাই, নেতাকর্মীদের দিকে তাকায় নাই, দেশের দিকে তাকায় নাই। এই নেতার ওপরে কি মানুষের আস্থা থাকতে পারে।’ সমাবেশে এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনুজীর আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আটক ।

ঠাকুরগাঁওয়ে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আটক ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রাজাগাঁও ইউনিয়নের চৌরঙ্গী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের। আটক হেলাল উদ্দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষ গ্রামের আবু সৈয়দ (ছুবাউ) এর ছোট ছেলে। জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের চৌরঙ্গী মার্কেট এলাকায় তার শশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে রুহিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। রুহিয়া থানার ওসি বলেন, পুলিশের বিশেষ অভিযানে হেলালকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় ।
ঠাকুরগাঁও - ১ আসনে  জামায়াতের প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি  !

ঠাকুরগাঁও - ১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,, ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতিতে সক্রিয় এ নেতা সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন বলে, দাবি করছেন স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষাজীবন শুরু হয়, বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে, এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনৈতিক জীবনে দেলোয়ার হোসেন ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি (১৯৯৯-২০০০), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি (২০০৭-২০০৯) এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি (২০১২-২০১৩) ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গেন্ডারিয়া থানার আমির (২০১৮-২০১৯), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি (২০২০-অদ্যাবধি) এবং জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা এবং উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে বলে, দাবি করেন তার সমর্থকরা। তবে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক মামলা চলমান রয়েছে, যেগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে, দাবি করা হচ্ছে। দেলোয়ার হোসেনের রাজনৈতিক জীবনে নির্যাতনের একটি অধ্যায়ও রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকাকালীন সময়ে (২০১২-২০১৩) ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার তাকে গ্রেফতার করে এবং টানা ৬০ দিন রিমান্ডে রেখে চরম নির্যাতন করে। এ সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে , এবং তিনি নির্যাতিত নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগেই দেলোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা জোরেশোরে চলছে। তার সমর্থকরা আশা করছেন, নির্বাচনে তিনি জামায়াতের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন। ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, একটি নিরপেক্ষে, গণতান্ত্রিক ভোটের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এবার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে এটা স্বাভাবিক। জামায়াত তাদের প্রার্থী দিয়েছে এটা তাদের ভোটের একটি অংশ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নির্বাচনী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। আর নির্বাচন হলো একমাত্র পথ যার মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারি। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা স্কুল বড় মাঠে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টর্নামেন্টের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘একটা ভয়ংকর সময় আমরা পার করেছি। প্রায় ১৫ বছর একটা পাথর আমাদের বুকের উপর ছিলো। সেই পাথর আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দানবের মতো ধ্বংস দিয়েছিলো। খেলার মাঠগুলোকেও ধ্বংস করে দিয়েছিলো।ভূমিকম্প হয়ে আমাদের তরুণ ছাত্ররা একটা অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে একটা নতুন বাংলদেশ নির্মাণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।’ এর আগে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে এই খেলার উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বিভিন্ন সাংস্কৃতির আয়োজন করা হয়। এসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক,পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী খেলায় দিনাজপুর জাতীয়তাবাদী দল ও পঞ্চগড় জাতীয়তাবাদী দল অংশ নেয়।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা  তারেক রহমানও খালাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা তারেক রহমানও খালাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও খালাস পেয়েছেন। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আপিলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। গত বছরের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। আর পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আরেকটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয় মামলার অপর তিন আসামিরও। এরপর একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরে শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত নভেম্বরে আপিল মঞ্জুর করে তিনিসহ সবার সাজা বাতিল করে দেন। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। ক্ষমাও চাননি। তাই তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ বিচার করবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

ক্ষমতায় গেলে ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ বিচার করবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ বিচার করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, যে ফ্যাসিজম হয়েছে, এটার বড় শিকার বিএনপি… আমাদের ওপরে যে নিপীড়ন-নির্যাতন-গুম হয়েছে এটা আর কার ওপরে হয়েছে? এমকি অন্য দলগুলোর মধ্যে… আমরা এবং জামায়াতে ইসলাম সবচেয়ে বেশি অ্যাফেক্টেড হয়েছি… আমাদের ওপরে অত্যাচারটা তো সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টদের বিচার করব না তো কে বিচার করবে… আমরা যদি ক্ষমতায় আসি। আর যেটা (বিচার) শুরু হয়েছে এখান থেকে সরে যাওয়ার কারো কোনো উপায় নেই। অবশ্যই বিচার হবে। আবার বিচার তড়িঘড়িও করা যাবে না। তড়িঘড়ি করলে কিন্তু এই বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। বিচার একটা প্রক্রিয়া এটা চলবে… অবশ্যই আমরা সে বিচার শেষ করব- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখুন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের একটা স্বকীয়তা আছে, তাদের চিন্তাভাবনা আছে। আমরা মনে করি, এ কারণে নির্বাচন দ্রুত করা সম্ভব, অসম্ভব কিছু না। জামায়াতে ইসলামী তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছে, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছি। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন যারা করেছেন তাদের সবার সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি… তারা প্রত্যেকে বলেছেন, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কারো দ্বিমত নেই। সমমনা দল, বাম দল, ডান দল, যতগুলো আছে সবাই ইতিমধ্যে… আপনারা দেখেছেন যে, সিপিবি দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে স্ট্যাটমেন্ট দিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলামী যে নির্বাচনের ব্যাপারে পার্থক্য খুব বেশি আছে দেখি না। গত কয়েক দিন আগেও উনি (আমির শফিকুর রহমান) বলেছেন, নির্বাচন করা দরকার, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা দরকার। তাই পার্থক্য কোনো কিছু দেখছি না। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সাহেবের কাছ থেকে ঘোষণার খসড়াপত্র পেয়েছি এবং উনি অনুরোধ করেছেন যে, এই বিষয়ে আমাদের মতামত জানানোর জন্য। বিষয়টা এত বেশি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ যে, এটা একদিনের নোটিশে করা সম্ভব না। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি, আমরা আরও আলোচনা করছি… আমাদের অন্য দলগুলো আছে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, সংবিধান বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। কারণ এই ঘোষণাপত্রের মধ্যে সংবিধানের ব্যাপারেও বহু কথা আছে... যেটি আমাদের দেখতে হয়। সুতরাং আমাদের ওই সময়টুকু লাগবে আর কি, আমরা চেষ্টা করছি, আলোচনা করছি। তিনি বলেন, বিএনপি একটা দায়িত্বশীল দলের জন্ম। সেই জন্মই কিন্তু সংস্কারের মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সাহেব তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন যা সবচেয়ে বড় সংস্কার… এটা একটা মৌলিক সংস্কার ওয়ান পার্টি সিস্টেম টু মাল্টি পার্টি সিস্টেম, এটা ক্লোজড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন থেকে ওপেন পলিটিক্যাল সিচুয়েশন, আবার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একটা ক্লোজড ইকোনমি থেকে ওপেন ফ্রি ইকোনমিতে নিয়ে আসা… এই কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট এখন সবাই মানতেছে… তাই না… এই যে সংস্কার কমিশন করেছে তারাও এই কেয়ারটেকার সরকারের কথাই বলবেন। তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বদলাতে পারে, চেঞ্জ হতে পারে… চেঞ্জ ছাড়া তো এগুবে না, সভ্যতা এগুবে না, রাজনীতি এগুবে না, কোনো কিছুই এগুবে না। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানে মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানে মির্জা ফখরুল

 


বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন আজ। বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তিনি ফিরোজায় যান। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ফিরোজার সামনে গিয়ে নেতাকর্মীদের রাস্তার মাঝখান থেকে সরে যেতে বলেন। তিনি তাদের রাস্তা ফাঁকা করে দুই পাশে দাঁড়াতে বলেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে বিকেল ৩টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে জড়ো হচ্ছেন। এ সময় বিএনপি নেত্রীর বাসভবনের সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সংখ্যাও গত দিনের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।

জানা গেছে, গুলশান-২ এর বাসা ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হবেন খালেদা জিয়া। তার বহনকারী গাড়িটি কাকলী গোলচত্বর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে। পরে রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।banner

এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাযাকে ঘিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-মির্জা ফখরুল

সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশের সচেতন ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের ফলে আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে। আমরা সবসময়ই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চেয়েছি এবং আজও চাই। গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চাই।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সব ছাত্রকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সবার আগে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে মনোযোগী হতে হবে। এরপরে প্রধান দায়িত্ব হলো- দেশের দিকে মনোযোগী হয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধারণ করা। শক্তিশালী এসব দর্শন জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও ছাত্র সমাজকে নিতে হবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনায় খুব কম সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়েই তিনি ছাত্রদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনেও তার ভূমিকা অপরিসীম। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে তিনি তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে খুব একটা সময় পাননি।’ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, মহেবুল্লাহ আবু নুরসহ অনেকে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সেই পতিত স্বৈরাচার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা ও আহত করেছে। তিনি বলেন, আজ যখন আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি; তখন আমাদের সামনে একটা নতুন সুযোগ এসেছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা কখনোই সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে মাথানত করবো না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। কিন্তু আজ সবক্ষেত্রে বৈষম্য, দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা যদি অবাধ, নিরপেক্ষ, জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি সার্বভৌম পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে পারি; তবেই এসব লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে।’ ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘ছাত্রদের সবসময় জ্ঞানচর্চা করতে হবে। তাদের এখন জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। কীভাবে দেশের ও পরিবারের কল্যাণ হবে সেই চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এসএ খালেক আর নেই

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এসএ খালেক আর নেই

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি এসএ খালেক ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, এসএ খালেক দীর্ঘদিন ধরে নানান রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বুধবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন। এদিকে, আজ দুপুরে এসএ খালেককে দেখতে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এবং দুপুর ২টায় মিরপুর বাংলা কলেজ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে গাবতলী মিরপুর শাহী মসজিদ পারিবারিক করব স্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা

রুবেল রানা, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার নারায়ন চন্দ্রের ছেলে সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু (৫৪) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। মামলার এজাহারে ২৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৪৩৫/৪৩৬/১১৪/৩৪ ধারায় ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩ ধারায় তাদের আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুর রহমান। মামলার আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি দৌপ্রদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি একরামুল হক, রুহিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) নেত্রী লাবণ্য সরকার দিয়া, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার, সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ ঝা ও সাবেক ক্রিয়া অফিসার মহিউদ্দীন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সহ-সভাপতি সানোয়ার পারভেজ পুলক, রয়েল বড়ুয়া, আক্তারুল, আজাহারুল ইসলাম, মারজিনা আক্তার ঋতু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, প্রবীর গুপ্ত বুয়া, ন্যাংড়া সোহেল, ন্যাংড়া সাদ্দাম, জাকারিয়া প্রমানিক, শামিনুর রহমান চৌঃ জয়, জুম্মান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুর ইসলাম তালাশ, কোয়ালিটি ফ্যাশনের লাভলু, আকচা ইউনিয়নের দেবীগঞ্জ বাজারের গনেশ ঘোষ, গোবিন্দ ঘোষ, সুমন ঘোষ, জয়দেব চন্দ্র রায়, জ্যোৎস্না রানী ও ব্যবসায়ী জয় মহন্ত ও রিংকু গুহ ঠাকুরতা। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ২৯৪ জন সহ অজ্ঞাত নামা ৫০০ আসামিরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে ধারালো ছুরি, শটগান, লোহার রড, চাপাতী, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, বাঁশের লাঠি সহ মারাত্মাক অস্ত্রসস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে সত্যজিৎ কুমার কুন্ডুসহ তাঁর লোকজনের উপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে। আসামীদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হন। আসামিদের তান্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এসময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেন। তারা ককটেল ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপিএ এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোটলের প্রেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে অফিসে আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ অফিস বিল্ডিং এর অবকাঠামে পুড়িয় ছাই হয়ে যায়। এতে পার্টি অফিসের ৫টি ল্যাপ্টপ, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবিল ও ৩টি এসিসহ আনুমানিক ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং সাক্ষীদের শারিরিক অবস্থা বেগতিক হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু নামে ব্যাক্তি ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ্য উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জন করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওয়াতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে, মুঠোফোনে যোগাযোগ পাওয়া যায় নি।
‘সরকার ঘোষিত সম্ভাব্য সময়ে নির্বাচন না হলে সন্দেহ সৃষ্টি হবে’

‘সরকার ঘোষিত সম্ভাব্য সময়ে নির্বাচন না হলে সন্দেহ সৃষ্টি হবে’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সবাই একই কথা বলেছেন। সেটি হচ্ছে, এই বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হবে। এর বাইরে না যাওয়া বোধ হয় জাতি ও গণঅভ্যুত্থানের জন্য পরিপূরক হবে। এর বাইরে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। তখন বিষয়টি বিতর্কিত হবে।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘দৈনিক আমার পিরোজপুর’ পত্রিকার প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুদু বলেন, সাংবাদিক ও মিডিয়া যেমন দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, ঠিক তেমনি দেশবিরোধী ভূমিকাও কখনো কখনো তারা পালন করে। এদেশে সাংবাদিকদের যেমন দীর্ঘ ঐতিহ্য, আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে, তেমনি কিছু কুলাঙ্গারও আছে। তারা এখনো আছে।তিনি বলেন, ২০২৪ এর মহাপ্রলয় ও মহাপরিবর্তনে ছাত্র-জনতার ভূমিকা যেমন তুলে ধরতে হবে, তেমনি গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমাদের পথটা তুলে ধরতে হবে। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র উত্তরণের একমাত্র পথ নির্বাচন। শেখ হাসিনা বাহানা করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেই তথাকথিত নির্বাচনের প্রশাসক, পুলিশ, ইউএনও, ডিসি, নির্বাচন কমিশনসহ সবাই ছিল আওয়ামী লীগের লোকজন। একমাত্র সাংবাদিকরাই নিজেদের অবস্থান থেকে যতটুকু পেরেছে সেটা জাতি, দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। সত্য বলার কারণে তারাও নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপিসহ ছোট-বড় যেসব দল আন্দোলনে শরিক হয়েছিল, তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তৈরি আছে। এখন কোনো টালবাহানা জাতির সঙ্গে না করা ভালো। বাঙালি জাতি, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে শেখ মুজিব-শেখ হাসিনা কেউ টেকেনি। আগামী দিনেও যদি কারো মাথার ভেতর প্রতারণার বিষয় থেকে থাকে, আমি তাদের অনুরোধ করব, বাস্তবতায় আসুন। তাহলে বুঝতে পারবেন, কোন কাজটা আগে করতে হবে, কোন কাজটা জরুরি। এই জিনিসটা যদি আপনারা বুঝতে পারেন, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।অনুষ্ঠানে দৈনিক আমার পিরোজপুরের সম্পাদক কে এম সাঈদ সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বিএনপি নেত্রী অর্পনা রায়, কৃষক দল নেতা এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম।
রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আ. লীগের দুর্বৃত্তায়ন নিচে পড়ে যাচ্ছে

রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আ. লীগের দুর্বৃত্তায়ন নিচে পড়ে যাচ্ছে

রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন নিচে পড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক তর্ক বিতর্কে আওয়ামী লীগের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটগুলো নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ নিয়ে আয়োজন করা হয় এই সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে মানুষের পকেট কেটে নিয়ে গেছে। মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। এগুলো এখন বৈদেশিক মুদ্রায় পেমেন্ট করতে হচ্ছে। যার ফলে, ২০২৭ সালের পরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। তার মূল কারণ হবে বিদ্যুৎ।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে রাজনৈতিক দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বজনপ্রীতি, নিয়মবূর্হিভূত করার কারণে বিশাল পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছেন কোনো হিসাব না দিয়ে এই খান থেকে দ্রুত টাকা বানানো যায়। কারণ বিদ্যুৎ তো হাওয়া, এটা তো দেখা যায় না। ক্যাপাসিটি চার্জ, এখন কোনো মেশিনের ক্যাপাসিটি চার্জ কত সেটা কে নির্ণয় করবে? সুতরাং এই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অনেক টাকা বের করে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ বলে উল্লেখ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ তো টেন্ডার ছাড়া কেনা হয়েছে। সুতরাং জনগণের তো জানা উচিত, তাদের টাকায় টেন্ডার ছাড়া কি ক্রয় করেছো। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি

আগামী পহেলা জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে ২ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পহেলা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ৯টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যালয়সহ দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১১ টায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন নেতাকর্মীরা। ১২টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। একইসঙ্গে সারাদেশের সব ইউনিটে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হলগুলোর মধ্যে এদিন রাতে আন্তঃহল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি করবেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গুলিস্তান স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় সংসদের ৮টি টিমের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর-দৃপ্ত প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংকল্প- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারাদেশের সকল জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের উদ্যোগে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা- যে কোন একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ, ১৯৭৯ সালের পহেলা জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি-এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ, জড়িতদের শাস্তি দাবি

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ, জড়িতদের শাস্তি দাবি

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বুধবার মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুন লাগা এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
গণহত্যা ও  দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে  - মির্জা ফখরুল

গণহত্যা ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে - মির্জা ফখরুল

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতি‌নি‌ধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,যারা সন্ত্রাসী, যারা গণহত্যা সঙ্গে জড়িত হয়েছিল এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে । ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব চত্ব‌রে দুস্থ ও অসহায়‌দের মা‌ঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কা‌লে সাংবা‌দিক‌দের এক প্রশ্নের জবাবে তি‌নি এ মন্তব‌্য ক‌রেন। মির্জা ফখরুল ব‌লেন, আমরা আশা করেছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে দুঃস্থ শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ধরনের উদ্যোগ সরকা‌রের পক্ষ থে‌কে আমরা দেখতে পাইনি ‌। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের দলের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করছি। আজকে আমরা পৌর শহরের মধ্যে বিতরণ করছি এরপর উপজেলা ও ইউনিয়ন গুলোতেও বিতরণ করা হবে। আমি আশা করব সরকার এই বিষয়টিতে এগিয়ে আসবেন। তারা আমাদের এই কনক‌নে শীতে শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বৈরতন্ত্র, ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি থেকে উত্তরণের বিষয়ে বিএন‌পির মহাস‌চিব বলেন,ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের যে শাসন সে শাসনকে স্থাপিত করতে হবে। অর্থাৎ জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। সেই সরকার দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। এর বাইরে অন্য কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নির্মাণ করা যায়, এটি হবে সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। শীতবস্ত্র বিতরণ কা‌লে উপ‌স্থিত ছি‌লেন,জেলা বিএন‌পির অর্থসম্পাদক মামুনুর র‌শিদ,দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ ,‌ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লা‌বের ভারপ্রাপ্ত সভাপ‌তি, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদ‌লের সভাপ‌তি মো.কা‌য়েস। তিন দি‌নের ঠাকুরগাঁও সফ‌রে এ‌সে বিএন‌পির মহাস‌চিব আজ বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে সৈয়দপুর হ‌য়ে বিমান যো‌গে ঢাকার উ‌দ্দে‌শ্যে রওয়া হন।